মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাদের ক্ষোভ অধিকাংশ বরাদ্দ চলে যায় জেলায়

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাদের ক্ষোভ অধিকাংশ বরাদ্দ চলে যায় জেলায়

রংপুর প্রতিনিধি:

উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ বরাদ্দ জেলা কোডে দেয়া হয় যার প্রায় সবগুলো বরাদ্দই জেলা কর্মকর্তারা উপজেলায় দেন না বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপজেলা আনসার কর্মকর্তা। জেলা আনসার কার্যালয়ের হিসাব রক্ষকদের সহায়তায় এ কাজ সম্পন্ন করে জেলার কর্মকর্তারা।

 

দেশের প্রায় জেলায় এই চিত্রের কথা উঠে আসে। ‘সাধারণ আনসারের সিসির ঘুষ ও বদলীর ঘুষ জেলার অফিস সহকারী ও হিসাব রক্ষকের মাধ্যমে করা হয়। জানান এক সাধারণ আনসার সদস্য।

 

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের তুলনামূলক বরাদ্দের চিত্রে দেখা যায় অধিকাংশ বরাদ্দ জেলার চেয়ে উপজেলায় বরাদ্দ খুবই কম। অথচ বাহিনীর তৃনমূল পর্যায়ের প্রাণ হলো উপজেলা কার্যালয়। স্থায়ীয় পর্যায়ের সকল কাজই উপজেলার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় অথচ ভাতা সংক্রান্ত আর্থিক বিষয়গুলো সম্পূর্ণরুপে জেলা থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে আনসার ভিডিপি সদস্যরা তাদের ভাতা উত্তোলনের জন্য উপজেলাকে পাস কাটিয়ে জেলায় ধর্না দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রংপুর রেঞ্জের অধীন এক উপজেলা কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছর আনসারের জেলা কার্যালয়ে বিভিন্ন জাতীয় দিবস, দুই ঈদ, মাহফিল ও জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে একটা বড় অংশ বরাদ্দ দিলেও তার কানাকড়িও উপজেলায় পৌঁছায় না। হাতে গোনা কিছু উপজেলায় বরাদ্দ দিলেও তা উপজেলাগুলোর প্রকৃত খরচের তুলনায় কম।

 

নির্বাচন ও দুর্গা পূজার আনুষঙ্গিক খরচের বরাদ্দ জেলা কমান্ড্যান্টদের অনুকূলে দেওয়া হয়। জেলা কর্মকর্তারা আনুষঙ্গিক খরচের অর্থ উপজেলা সমূহে অর্ধেক কিংবা এক তৃতীয়াংশ দেয়। আবার অনেক জেলায় এক টাকাও দেয় না। অথচ নির্বাচন ও দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে উপজেলাভেদে ৪০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। জেলা কমান্ড্যান্টদের এরূপ বিমাতাসুলভ কর্মকান্ড দেখার কেউ নেই।

 

এ ব্যাপারে জানতে রংপুর জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম মেহেদৗ হাসানকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি নিজেও বৈষম্যের শিকার। আর উপজেলা কর্মকর্তাদের কোন পদোন্নতি না হওয়ায় এ ব্যাপারে তাদের অভিযোগ থাকতে পারে।

 

কুড়িগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট নাহিদ হাসান জনির মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, উপজেলা আনসার কর্মকর্তাদের অভিযোগ মিথ্যা কারণ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের স্বাক্ষরে তাদের টাকা তুলে নেয়। এখানে জেলা কর্মকর্তার কোন হস্তক্ষেপ নেই।

 

বাহিনীর প্রধানের সাথে উপজেলা কর্মকর্তাদের সরাসরি কোন যোগাযোগ না থাকায় উপরের মহলে এসব ক্ষোভের বিষয়গুলো তারা জানাতে পারে না। এখন তাঁদের পদটির আপগ্রেডেশন হলে এই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হবে বলে জানান তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024 Rangpurtimes24.Com
Developed BY Rafi IT